আজ বৃহস্পতিবার, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চেয়ারম্যানদের হ্যা, দলের না

বিশেষ প্রতিনিধি :

দ্বিতীয় দফা ইউপি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ১১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ১৫ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আর এ ঘোষনার পর থেকে নড়েচড়ে বসেছে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীরা। তবে সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে বর্তমানে ৫টি-ই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের দখলে রয়েছে। শুধুমাত্র একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার পেয়েছেন বিএনপি নেতা মনিরুল আলম সেন্টু। রূপগঞ্জের ৫টির মধ্যে ভোলাবতে বিএনপির চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন। সুত্রের খবর তিনি নির্বাচন করতে আগ্রহী। তার দল নির্বাচনে অংশ নেবে না।

কিন্তু বড় দুইটি দলের অংশগ্রহন ছাড়া কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না হলে নির্বাচনী আমেজ থাকে না বিধায় সাধারণ মানুষের মাঝেও অনীহা প্রকাশ পেয়েছে। বিএনপি’র প্রাথীরা কোন দিকে যাবেন, কিংবা কী করবেন। দিন যতই যাচ্ছে এমন নানা কিছু জানার কৌতুহুল বাড়ছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে।

জানা গেছে, সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি। তার প্রতিদ্বন্দ্বি হতে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে এখানে বিএনপি দলীয় কোন প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র হিসেবেও দাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেনি। বক্তাবলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান রয়েছেন এম এ শওকত আলী। যার কোন প্রতিদ্বন্দ্বি নেই বললেই চলে। আর সেখানেও বিএনপি বা অন্যকোন দলের প্রার্থী’র নাম এখনো পর্যন্ত শোনা যায়নি। গোগনগর চেয়ারম্যান নওশেদ আলী মারা গেছেন তাই ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আছেন নুর হোসেন। এ ইউনিয়নে আপাতত কোন বিএনপি প্রার্থী নেই। এনায়েতনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান। তার বিপরীতে প্রার্থী ছিল বিএনপি দলীয় আলমগীর হোসেন। তবে এবার যেহেতু দল থেকে সর্মথন দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে নেতারা। সেক্ষেত্রে স্বতন্ত্র থেকে দাড়াবে কিনা তা এখনো পরিস্কার করেনি আলমগীর হোসেন। কাশীপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ বাদলের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতে নির্বাচিত হয়েছেন। এবারো বিএনপি বা অন্যকোন দল প্রার্থী না ঘোষনা করায় এবারো ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সবশেষে কুতুবপুর ইউনিয়নেই একমাত্র বিএনপি সর্মথক চেয়ারম্যান রয়েছেন মনিরুল আলম সেন্টু। যদিও গতবার নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছে। তাছাড়া তিনি বিএনপি নেতা হলেও সরকার দলীয় লোকের সাথেই আতঁত করে চলতেন। দলীয় কোন কর্মসূচীতেও তাকে তেমন একটা দেখা যেত না। আর এমন অভিযোগে তাকে ইতমধ্যে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। তাই এখানেও সেন্টু’র বিকল্প কিংবা বিএনপি’র কোন প্রার্থী নেই।

তবে এ নির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে কথা হলে এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম পান্না বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি। আমার দল যেহেতু এই সরকার আমলে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে, আমরা কোন প্রার্থী দিচ্ছিনা। বিএনপি নেতা মনিরুল আলম সেন্টু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেন্টুকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। সুতরাং উনি আমাদের দলের কেউ না। তবে কেউ যদি সতন্ত্র থেকে ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি করে সেক্ষেত্রে আমাদের বলার কিছু নেই।

একরামুল মামুন বলেন, দল থেকে কোন প্রার্থী থাকবেনা। সেহেতু দলীয়ভাবে কাউকে আমরা সমর্থণও দিবো না। কিন্তু দলের কেউ যদি সতন্ত্র থেকে দাড়ায়। ব্যক্তিগতভাবে দোয়া করবো। কিংবা কোন সহযোগীতা প্রয়োজন হলে তা করবো। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তবে সরকার অহেতুক টাকা খরচ করছে। কারণ আমরা সকলেই জানি কি নির্বাচন হয়। সুতরাং সরাসরি ঘোষনা দিলেই ভালো হয় কোন ইউনিয়নে কে চেয়ারম্যান!

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপে নারায়ণগঞ্জের সদর, বন্দর ও রূপগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ বুধবার নির্বাচন ভবনে কমিশনের বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ূন কবির খন্দকার৷
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন তা হলো- আলীরটেক, বক্তাবলী, গোগনগর, এনায়েতনগর, কাশীপুর, কুতুবপুর। বন্দর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন তা হলো- মুছাপুর, ধামগড়, মদনপুর, কলাগাছিয়া এবং রূপগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন তা হলো- গোলাকান্দাইল, ভুলতা, মুড়াপাড়া, কায়েতপাড়া, ভোলাবতে অনুষ্ঠিত হবে৷

সর্বশেষ সংবাদ